সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পটা জীবনের

গল্পটা জীবনের lesbian

golpota jiboner
গল্পটা জীবনেরlesbian couples



পর্ব দুই lesbian

সৌমাশ্রী কেমন যেন অবাক হয়ে চেয়ে রইলো, কিছু বলার আগেই পিছন থেকে রণজিৎ ডাক দিলো, "কিরে পৃথা ওখানে কি করছিস, সমর স্যারের ক্লাসে যাবি না।"
পৃথা কিছু না বলে গুটি গুটি পায়ে ফিরে গেলো রণজিৎ এর দিকে।lesbian couples
সৌমাশ্রী মনে একবারটি পৃথা কে ডাকবার ইচ্ছা হলো, কিন্তু অদম্য ইচ্ছা কে অপসারণ করে শুধু পৃথার চলে যাওয়া দিকে তাকিয়ে রইলো, নিজের অজান্তে একটা দীর্ঘ নিঃস্বাস বেরিয়ে এলো সৌমশ্রীর বুকের গহ্বর থেকে।
 এরপর সময় এগিয়ে নিয়ে চললো ওদের বন্ধুত্বের এক নির্দিষ্ট পথে যেখানে শেষ পরিণতি স্বয়ং ভগবান জানেন। 
বন্ধুত্বের শুরুতে পৃথা সম্পূর্ণ উজাড় করে দিতে চিয়েছিলো। পৃথার কেমন এক নেশা আর ভালোলাগা কাজ করতো সব সময় মনে হতো সৌমাশ্রীকে না দেখলে মনে অশান্তি লেগেই থাকবে। অনেক প্রশ্ন দানা বাঁধতো মনে কিন্তু, দিন শেষে সৌমাশ্রীর মুখ দেখলে কেমন যেন সব প্রশ্ন উধাও হয়ে যেত। অনেক সময় আবার মনে দুঃখ পেতো যেভাবে পৃথা বন্ধুত্ত পালন করছে সেভাবে সৌমাশ্রী পাত্তা দিচ্ছে না, তবুও কিছুই বলতে পারতো না শুধু বন্ধুত্ত হারানোর ভয়ে।lesbian sexuality 
এরপর আরো সময় এগিয়ে যেতে থাকলো, ইলেভেন এর ক্লাস টেস্ট এগিয়ে এলো, এরই মাঝে পৃথার মনে নতুন উদ্বেগ দেখা দিলো। সৌমাশ্রীর মনে একটা ক্লাস ১২ এর ছেলে বেশ এঁটে বসেছে, পৃথার সঙ্গে থাকলে প্রায় তার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পৃথা বেশ বিরক্ত হয় কিন্তু কিছু বলতে পারে না। পৃথা প্রথমে নিজে বুঝতে পারে না যদি সৌমাশ্রী কোনো ছেলে ভালোবাসে তাতে পৃথার সমস্যা কোথায়, বা এরকম বিরক্তের কারণ কি? এরকম অনেক ভাবার পর পৃথা নিজেরকে ওই ছেলেটির জায়গায় নিজেকে বসিয়ে ভাবতে লাগলো সে যদি সৌমাশ্রীকে ভালোবাসে তাহলে? সৌমাশ্রী তার নিজের হয়ে থাকবে, রক্ষা করবে, ভালোবাসবে যেভাবে একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসে। কিন্তু এটা সম্ভব একটা মেয়ে হয়ে আর একটা মেয়েকে ভালোবাসা। নিজের অজান্তেই পৃথার মন উত্তর দেয়, "এভরিথিং ইস ফেয়ার ইন লাভ এন্ড ওয়ার"। সুতরাং, এতে পৃথার দোষ কি নির্লিপ্ত ভালোবাসা মানুষকে অসহায় করে তুলে, তা পৃথার কোমল মন বেশ স্পষ্ট জানান দিচ্ছে। পৃথা অনেক ভেবে ঠিক করলো তার মনের কথা জানান দিবে সৌমাশ্রী কে। যা হবে দেখা যাবে। হয় বন্ধুত্ত ভাঙবে, না হয় একটা সম্পর্ক তৈরী হবে। এই ভেবে পৃথা, শনিবার রাত্রে এগারোটা তিরিশ মিনিটে ফোন করলো সৌমাশ্রীকে।
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ........
তিনবারের বেলায় ফোন তুললো সৌমাশ্রী। 
"হ্যালো, কি রে এতো রাত্রে ফোন করলি", ঘুম জড়ানো গলায় বললো সৌমাশ্রী।
"তুই কি শুয়ে পড়েছিস?"
"কোটা বাজে? ঘড়ি দেখেছিস?", একটা শুস্ক হাই তুলে বললো সৌমাশ্রী।
কটা বাজে জানে পৃথা তবুও মোবাইলটা কান থেকে সরিয়ে একবার সময় দেখে বললো, "একটা খুব দরকার কথা ছিল, তাই না বলে থাকতে পারছি না, তোর কাছে সময় হবে একটু?"
"কি যে বলিস, তোকে কি আবার স্পেশাল টাইম দিতে হবে আমাকে ফোন করার, তোর যখন সময় হবে তখনি করবি।"lesbian erotica
"স্পেশাল টাইম না তবে স্পেশাল পারসন হতে চাইলে সমস্যা আছে?", ঢোক গিলে জিজ্ঞাসা করলো পৃথা।
ওপাশ থেকে কয়েক মুহূর্ত নিশ্চুপ তারপর আবার মিষ্টি সুর ভেসে এলো, "স্পেশাল পারসন মানে, মাঝরাতে কি নেশা করেছিস,  কি বলছিস কিছুই বুঝতে পারছিনা?"
এবার পৃথার বুক ঢিব ঢিব  করতে লাগলো বুকে সাহস এনে বললো, "জানিনা সুমি এটা শোনার পর তুই আমাকে কি ভাববি তবুও না বলে থাকতে পারছিনা নিজে নিজেই ভিতরে শেষ হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এবার না বললেই নয়। আমি তোকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি, তোকে আমার করতে চাই, হবি তুই আমার?"
"কি.........?"
.........চলবে!

মন্তব্যসমূহ