সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পটা জীবনের

    
গল্পটা জীবনের lesbian couples

golpota jiboner
গল্পটা জীবনেরlesbian couples


পর্ব এক lesbian love

জীবনে সংগ্রাম শুধু কি বাঁচার, নাকি ভাত কাপড়ের নাকি অন্যকিছুর। অনেকে বলবে হয়তো তিন মিলিয়েই জীবনের সংগ্রাম। কিন্তু আমি বলবো জীবনে সংগ্রাম শুধু ভাত কাপড়ের না, আছে অমোঘ প্রেমের নির্লিপ্ত ভালোবাসার, তখন কি বলবেন পাঠক পাঠিকাগন, তাহলে আজ সেরকমই একটা গল্প শোনাই ----

ধরো মনে করা যাক গল্পের পটভূমি কোনো এক শহরের তখন কি ভালোবাসার জন্য সংগ্রামের প্রয়োজন?

পৃথা এই সবে মাধ্যমিক পাস করে ক্লাস ইলেভেন এ উঠেছে, জীবনে যেন এক নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে, বাবা আর রাত্রি করে বাড়ি ফিরলে প্রশ্ন করেনা, মা আর স্কুলে দিতে যায়না, বন্ধুরা ফোনে আড্ডা মারলে মা বকে না, এ যেন নতুন ধরণের স্বাধ পেয়েছে পৃথা। তবুও সেই বাবা মায়ের না পাওয়া ঘেরাটোপটা মাঝে মাঝে পৃথাকে একটু একা করে তুলে, মনে প্রশ্ন আনে, "তবে কি বাবা মা আমাকে কম ভালোবাসছে?", কিন্তু এক ভিড় বন্ধুর মাঝে প্রশ্ন উঠে আবার চাপা পরে যায়। কিন্তু এই নতুন ধরণের স্বাধীনতা বেশ উপভোগ করে পৃথা। মনে মনে ভাবে সে অনেক বড় হয়ে গেছে এখন। জীবনের শুরুতে পৃথা ভেবেছিল এটাই হয়তো জীবন কিন্তু না পরিস্থিতি পৃথাকে এক অতল সমুদ্রে নিয়ে গিয়ে ফেললো। 

শুরুতে সংস্পর্শ বেশ আনন্দদায়ক লাগছিলো কিন্তু রাত্রি শেষে, বিছানায় শুয়ে পৃথা নিজেকে একাই পেয়েছে বারংবার। এই একাতিত্ব কাটাতে অনেক পরামর্শ পেয়েছে পৃথা, অনেকে বলেছে গল্প বই পড়তে। পৃথা মনে মনে ভাবে, "যাহ, এমনি পড়ার বই উদ্ধার হচ্ছে না আবার গল্প বই!"। তবুও চেষ্টা করেছিল পৃথা, কিন্তু এক সময় বিরক্ত হয়ে মা সরস্বতীকে বিদায় দিয়েছে পৃথা। অনেকে আবার উপদেশ দিলো প্রেম করতে, কিন্তু না প্রেম বললেই প্রেম! কাউকে মনেই ধরেনা পৃথার। ক্লাসের সব থেকে অপূর্ব দেখতে সৌভিক তাকেও মনে ধরে না পৃথার। দাড়িওয়ালা মুখের থেকে কোমল মুখই  মনে ফুটে ওঠে পৃথার। এই ভাবে একটা গোটা বছর কেটে গেলো। শুরু ক্লাস টুয়েলভ, এবারে সবাই একটু পড়াশোনাতে মন দিলো। পৃথাও ব্যতিক্রম হলো না। কিন্তু এই একাগ্রতা বেশি দিন টিকলো না। ক্লাসএ ট্রান্সফার নিয়ে হাজির হলো সৌমশ্রী। গায়ের রং টকটকে বাদামি, মুখের ঔজ্জ্বল্য যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে, লম্বা খোঁপা করে বাঁধা চুলে আর কাজল কালো চোখ যেন বুকে হিমেল হওয়ার ঝড় তুলে দেয়। পৃথা বেশ নজরে লাগে কিন্তু কোনো কারণ খুঁজে পায় না, এর আগেও অনেক মেয়ে দেখেছে কই এমন হয়নি। কেমন যেন মনে হয়, শুধু তাকিয়ে থাকতে চাই মন। না কিন্তু পারে না, সৌমশ্রীর চোখে চোখ পড়তেই চোখ নামাতে বাধ্য হয় পৃথা। পৃথার মনে তখন অগাধ প্রশ্নের  ঝড়। lesbian erotica

সময় আরো এগিয়ে চললো, কিন্তু সৌমশ্রীর জন্য পৃথার মন যেন আরো ব্যকূল হয়ে উঠলো। বার বার মন চাই  সৌমশ্রীর সাথে কথা বলতে কিন্তু শরীরের সমস্ত শক্তি দমিয়ে রাখে পৃথা নিজেকে। কিন্তু না শেষে নিজের মনের কাছে পরাজয় স্বীকার করে পৃথা পরিচয় করতে গেলো,

কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে পৃথা  বললো, "তুমি সৌমশ্রী না, কেমন আছো?"

ভারী কিন্তু মিষ্টি গলায় বললো, "আশা করি নাম আমার নাম তোমার কাছে অজানা নয়।" 

লজ্জায় প্রায় মাটির সাথে মিশে যাওয়ার মতো অবস্থা পৃথার তবুও আমতা আমতা করে বললো, "হ্যাঁ, জানি তবুও জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা হয়, বললে না তো কেমন আছো?"

"তুমি কেমন আছো? তোমার নাম পৃথা তো?"

পৃথা মাথা কাত করে বললো, "হ্যাঁ, আমি পৃথা"lesbian couples

সৌমশ্রী মুচকি হেসে বললো, "বাহঃ, বেশ সুন্দর নাম, আমার সাথে বন্ধুত্ত করবে বলে এসেছো বুঝি?"

পৃথা যেন আরো সংকুচিত হয়ে গেলো, বললো, "তুমি আমাদের স্কুলে নতুন এসেছো তাই ভাবলাম আলাপ করি।" 

"কি হবে আলাপ করে? আমি যদি বাজে মেয়ে হয়?" রুক্ষ স্বরে বললো সৌমাশ্রী। খানিকটা মুষড়ে পড়লো পৃথা। সৌমাশ্রী আলতো ভাবে গালে হাত রেখে বললো, "কি আমাকে কি বাজে মেয়ে মনে হয়, আরে না তোমার সাথে মজা করছিলাম, আমি এরকমই সবার সাথে মজা করে বেড়াই, হবে আমার বন্ধু?"lesbian couples

পৃথার গালে হাত রাখাই পৃথার সারা শরীরে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেলো, মনে যেন কিসের অনুভূতি তোলপাড় করে উঠলো, কিসের যেন নতুন ছোয়া প্রাণে হৃদয়ে স্পর্শ করলো নিজের অজান্তেই পৃথা বলে উঠলো, "শুধু বন্ধু কেন, কিংবা তারও বেশি"

................চলবে!lesbian sexuality

মন্তব্যসমূহ