সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অপেক্ষা

অপেক্ষা
অপেক্ষা


পর্ব দ্বিতীয় 
Lesbian story archives 

হাওড়া থেকে ট্রেনে কেশপুর আসতে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা লাগলো, ট্রেনে বলার মতো কিছু না ঘটলেও এক বয়স্কা বারবার আমার আর মেঘার দিকে বারবার ভ্রুকুটি করে তাকাচ্ছিলো, কারণ কিছুই না মেঘা কিছু মহূর্ত ছাড়া আমার হাতের তালুটা ওর হাতের মধ্যে রেখে চুমু খাচ্ছিল, একবার বয়স্কাকে বলতেও শুনলাম, “কি অসভ্য মেয়েরে বাবা, এই জন্যই মেয়েরা রেপ হয়”, কি আর বলা এসব শুনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে তাই এখন আর কিছুই মনে হলো না।
কেশপুর স্টেশন এ পা দিয়ে সেই পুরানো মাটির গন্ধ, চারিদিকে সবুজ যেনো চোখ জুড়ানো। কলকাতার ভ্যাপসা গরমে সব কেমন যেনো হারিয়ে গিয়েছিল। মেঘা চিরদিনই কলকাতার খাঁচায় বন্দী ছিল, এত সবুজ একসাথে দেখে মন্তমুগ্ধের মত চারিদিকে উকি দিচ্ছে।
কিছক্ষনের মধ্যেই বাবা সেই পুরানো মান্ধাতা আমলের ফোর্ড মোটর গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হলো। বাবার চেহারার কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম না, শুধু কাঁচা গোঁফের সাথে কিছু পাকা রঙের ছোঁয়া লেগেছে সবে। আমি তাড়াতাড়ি বাবাকে প্রণাম করলাম, আমার দেখাদেখি মেঘাও বাবাকে প্রণাম করলো, বাবা মেঘার দুহাত ধরে থাক থাক বলে আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে গম্ভীর গলায় জিজ্ঞাসা করল, “ইনি কে?”
আমি আমতা আমতা করে বললাম, “ও মেঘা দত্ত আমার বন্ধু আমার মেসে থাকে গ্রাম দেখতে নিয়ে এলাম”।
“ওহ, তা তুমি বেশ সংস্কারি কলকাতার মেয়ের মধ্যে এত গুন! ভাবলেই অবাক লাগে” বাবা মেঘার দিকে ঘুরে বললো, মেঘা অল্প হেঁসে বললো, “সবই আপনার মেয়ের কাছে শেখা আংকেল, অরুণিমা আমার খুব যত্ন রাখে”
এই রে, এখুনি বোধহয় ধরা পড়ে গেলাম, আমার তখন দাঁত দিয়ে নখ কাটার মতো অবস্থা, এই মেয়েটা কোথায় কি বলতে হয় কিছুই জানেনা! বাবা আমার দিকে গম্ভীর মুখ করে প্রায় আদেশের সুরে বললো, “অরু যতদিন মেঘা আমাদের বাড়িতে থাকবে, দেখবে যেনো আতিথেয়তায় কোনো কমতি না হয়”
আমি হাঁ বাবা, বলে দীর্ঘশ্বাস ফেললাম, যাইহোক এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম।
বাড়ি পৌঁছে মায়ের প্রশ্নবাণের মুখে আছড়ে পড়লাম, কি করি, কি খায়, মেঘা কেমন মেয়ে, ইত্যাদি ইত্যাদি! আমি মায়ের প্রশ্নবাণে দিশেহারা দেখে বাবা কড়া সুরে বলল, “আরে মেয়ে এতদিন পর বাড়িতে এলো, এখনই সব প্রশ্ন করবে নাকি অল্প রাখবে পরের জন্য, মেয়ে ও তার বন্ধু এসেছে ওদের ঘর দেখিয়ে এসে খাবার ব্যবস্থা করতো”
মা আটকা পেয়ে আর প্রশ্ন করার সাহস পেলনা, গুটি গুটি পায়ে আমাদের ঘরে নিয়ে গেল, আমার ঘরটা ঠিক যেনো বারো বছর আগে ছেড়ে গিয়েছিলাম ঠিক তেমনই, শুধু আমি বড়ো হয়ে গেছি আমার ঘর সেই বারো বছরেই থেমে আছে, শুধু আমার অপেক্ষায়।
মায়ের কথায় সম্বিত ফিরে পেলাম, মা বললো, “মেঘা, তুমি অরুণিমার সাথে এক ঘরে থাকতে অসুবিধা হবে না তো?”
মেঘা মুচকি হেঁসে বললো, “না আণ্টি কোনো অসুবিধা হবে না”!
মা দরজার দিকে পা বাড়িয়ে বললো, “তোমরা স্নান করে নিচে এসো আমি খাবারের ব্যবস্থা করছি”, বলে মা দরজা ভেজিয়ে চলে গেলো।
আমি, আমার আর মেঘার ব্যাগটা খাটের তলায় ঢুকাতে ঢুকাতে বললাম, “তুমি আগে স্নান করবে নাকি আমি আগে করবো”
মেঘা সামনের ফাঁকা চেয়ারটা টেনে তার উপর বসে বললো, “you know what I like when you kneel before me”, লজ্জায় আমার মুখ লাল হয়ে গেল, আমি বসা ভঙ্গি থেকে উঠে দাঁড়ালাম।
“এতো ফাজলামি রাখো কোথা থেকে, ভর দুপুরে ফাজলামি হচ্ছে, মাথায় কি সবসময় তোমায় ওই ঘুরে নাকি,”
“বাহ্ রে তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড তোমায় ফাজলামি করবো না তো বুল্টির মাকে নিয়ে করবো”
“হয়েছে হয়েছে, থাক থাক জানি আপনি কতই ভালোবাসেন, এবার দয়া করে বলবেন, যে আপনি স্নান করবেন আগে নাকি আমি করবো”,
“যদি একসাথে করি”, দুষ্টু হাসি দিয়ে বললো মেঘা।
“একসাথে স্নান করতে ঢুকলে স্নান বাদ দিয়ে অন্য কিছু হবে, সুতরাং তুমি বসো আমি চললাম স্নানে, আর ভাবো কিভাবে আমার মুখ থেকে মেঘা প্লিজ শুনবে”
“এই তো! আমি আর মেঘা প্লিজ না শুনে তোমায় ছাড়ছি না”, বলে মেঘা ঝাঁপিয়ে পড়লো আমার উপর, কিন্তু আমাকে ধরায় আগেই আমি বাথরুমের দিকে দৌড় দিলাম। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। আমি বাথরুমের দরজা লাগানোর আগেই মেঘা দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে এলো। সত্যিই মেঘার সাথে গায়ের জোরে কোনোদিন পারিনা ওর শক্তি বেশি আমার থেকে, তাই সবসময় আমাকে খুব প্রটেক্টিভ মনে হয় ওর সাথে।
মেঘা আস্তে আস্তে দরজা ঠেলে বাথরুম এ ঢুকলো আমি একপা করে পিছিয়ে গেলাম কিছুক্ষনের মধ্যেই আমার পিঠ টাইল বসানো মেঝেতে ঠেকলো, আমি কিছু না ভেবে পেয়ে দিলাম সাওয়ার চালু করে, মেঘহীন বৃষ্টির মতো শাওয়ারের জল আমার মধ্যে ঝরতে লাগল। কিছু চুল জলের ঝাপটায় সামনে এসে মুখের উপর আটকে রইলো, মেঘা আস্তে আস্তে আমার মুখ চুল সরিয়ে আমার চোখের দিকে চেয়ে থাকল, এই চাহুনিকে অবজ্ঞা করা কঠিন তার এই লোলুপ চাহুনি বারবার বলে চাই আমি যেনো শুধুই তার আর আমিও শুধু তারই হতে চাই দেহ মন দুটো দিয়েই। আমি বেশিক্ষন চেয়ে থাকতে পারলাম না চোখ নামিয়ে দিলাম, ও আমার থুতনিতে হাত দিয়ে ওর মুখ আমার কাছে এনে বললো, “I like when my appearance make nervous”
ওর গরম নিশ্বাস কানে কানে লাগতেই সারা শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেলো! মেঘা কানে লতিতে হালকা কামড় দিয়ে বললো, “I know you wet down there”
কথাটা ভেবেই সারা শরীরে আরেকবার বিদ্যুৎ ঝলকানি অনুভব করলাম, নিজেই নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরলাম, মেঘার হাতটা নিয়ে তলপেটের উপর বসিয়ে দিলাম।
মেঘা হাতটা আমার তলপেট থেকে সরিয়ে বললো, “এত সহজে তোমার মুক্তি নাই”, তারপর আমার হাতদুটো ওর হাতের মধ্যে ধরে আমার মাথার উপর চেপে ধরে অন্য হাত দিয়ে আমার ঠোঁটে হাত বুলাতে লাগলো, আমার শরীর তখন থরথর করে কাঁপছে।
আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম, “তুমি suffering করাতে খুব মজা পাও তাই না”।
“Ofcourse ডার্লিং, একেই তো বলে অপেক্ষা!”, মেঘার ঠোঁট ও আমার ঠোঁটের মধ্যে দূরত্ব কমে এলো, মেঘার গরম নিশ্বাস আমার ঠোঁটের ওপর অনুভব করলাম, আর কিছুক্ষণ তারপরই মিশবে, কিন্তু না হলো না পিছন থেকে দরজার টোকা পড়ার শব্দ কানে ভেসে এলো…… To be continued

মন্তব্যসমূহ