সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

তুঙ্গভদ্রার তীরে





Disclaimer :- This story inspired by novel same name "তুঙ্গভদ্রার তীরে" by Saradindu Bandopadhyay. All characters are fictional if there any similarlities is purely co-incidence

চতুর্থ পর্ব

পরদিন ভোরে সোমাদৃতা উপস্থিত হলো রাজার দরবারে, আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন রাজা দেব রায়, সেনাপতি অর্জুন বর্মা আর একটি শরীরী যাকে এর আগে সোমাদৃতা দেখেনি।
দেব রায় সোমাদৃতাকে দেখে বললেন, “সুপ্রভাত, এসো সোমাদৃতা, তোমার সাথে পরিচয় করে দিই, এ হচ্ছে আমার প্রধান গুপ্তচর শ্রীমান”
সেনাপতির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকে নির্দেশ করে বললো দেব রায়।
ব্যক্তিটি নমস্কার করলে সোমাদৃতাও প্রতি নমস্কার করলো।
দেব রায় আবার বললেন, “দক্ষিণের সীমানার সেনার প্রধানের কাছে তোমরা দুজন যাবে, তোমাদের দুজনকে দুটি তেজী ঘোড়া দেওয়া হবে আর দুটি পত্র এই দুটি তোমরা সেনা প্রধানকে দিবে এবং সে পত্রের ভিত্তিতে তোমাদের ভিন্ন দুটি পৃথক উত্তর দিবে এবং তোমরা আমাকে তার উত্তর জানাবে”।
কিছুক্ষন থেমে তিনি আবার বললেন, “ সোমাদৃতা দক্ষিণ সীমানার পথ সম্পর্কে অবগত নই, শ্রীমান তুমি দায়িত্ব সহকারে পথ চিনিয়ে দিবে”।
“যথা আজ্ঞা মহারাজ”, বললো শ্রীমান।
এরপর শ্রীমান আর সোমাদৃতা রাজাকে প্রণাম করে দুটি তেজী ঘোড়ায় চড়ে দক্ষিণের সীমানার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
এবারও অতিথিশালার ছাদ থেকে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎমালা সবই লক্ষ্য করলো। মনে কিছুটা চিন্তার রেখা ফুটে উঠল বিদ্যুৎমালার সে অবাক হলো যে এত ভোরে সোমাদৃতা আর্ অজ্ঞাত যুবক ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছে কোথায়? যদি যুবকের কু – উদ্দেশ্য থাকে, যদি……..!
তার পরক্ষণেই মনে পড়লো তার সোমাদৃতা কত সাহসী এবং বাহাদুর। বিদ্যুৎমালার সোমাদৃতা ভাবতেই যেনো বিদ্যুৎমালার হৃদয়ে এক শান্তির হাওয়া বয়ে গেলো। বিদ্যুৎমালা, সোমাদৃতার শুভকামনা চেয়ে মা ভবতারিণীকে স্মরণ করলো।
দুপুর দি – প্রহর, বিজয়নগরের দক্ষিণের জঙ্গলের মধ্যে সরু পথের ওপর দুটি সাদা ঘোড়া ধিমে চলে চলছে একটি সৌম্যকান্ত যুবক ও অন্যটিতে তক্তকাঞ্চন যুবতী।
সূর্য যখন পশ্চিম পাড়ে, তখন সোমাদৃতা, আর্ শ্রীমান দক্ষিণের সীমানায় প্রবেশ করলো। সেনা প্রধান অমরজিত দুজনকে যথা সম্ভব আতিত্থ্যের সাথে গ্রহণ করলো।
 অমরজিত বললো, “তোমরা বিশ্রাম করো, সন্ধ্যা নাগাদ তোমরা তোমাদের পত্রের উত্তর পেয়ে যাবে”।
সোমাদৃতা আর্ শ্রীমান দুজনকে একই ঘরে বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হলো। দুজনেই চোখে নিদ্রা ঘনিয়ে এলো। মাঝরাতে হটাৎ সোমাদৃতার ঘুম ভেংগে যায়। পাশে চেয়ে দেখে অন্য একটি তক্তাই শ্রীমান এখনো অঘোরে ঘুমিয়ে আছে, নাক ডাকার আওয়াজ বেশ স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে সোমাদৃতা।
সোমাদৃতা পাশ ফিরে দেখে তার তক্তার পাশে তার পত্রের প্রতিউত্তর দেওয়া আছে। সে সেটাকে কোমরে গুঁজে চুপিসারে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো, জোৎস্নায় চারিদিক মুখর হয়ে আছে। সোমাদৃতা সামনের আস্তাবলে তার ঘোড়াটিকে দেখতে পেলো, সে কিন্তু সেদিকে না গিয়ে তার সেই দুটি লাঠি নিয়ে সরু মেঠো পথে নেমে পড়লো।
পূর্ব আকাশ সব পরিষ্কার হচ্ছে। এখনো শুকতারা মুছে যায়নি। ঠিক এমন সময় বিজয়নগরের দক্ষিণ দ্বারের প্রহরীরা একটা আবছা মূর্তিকে লম্বা লম্বা পা ফেলে এগিয়ে আসছে তাদের দিকে। তারা হতবাক আর্ কিছুটা ভয় নিয়ে চেয়ে রইলো। মূর্তিটা সামনে আসতে চিনতে পারলো, সোমাদৃতাকে চিনতে পেরে তারা দরজা খুলে দেই।
রাজা দেব রায় সবে প্রাতভ্রমনে বেড়িয়েছেন। সে সোমাদৃতাকে দেখে চমকে উঠলেন। যে দক্ষিণের সীমানা যাতায়াতে দুদিন সময় লাগে, সেখানে সোমাদৃতা মাত্র একদিনে ফিরে এসেছে। দেব রায় প্রসন্ন হয়ে সোমাদৃতাকে নিজের ব্যক্তিগত রাজদূত হিসাবে নিযুক্ত করলেন।
সোমাদৃতার এই বীরগাথা সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো।
বিদ্যুৎমালা পম্পা সরোবরে স্নান সেরে পম্পা দেবীর মন্দিরে যাবার সময় সোমাদৃতাকে খুঁজতে লাগলো, কিন্তু পেলো না। তবে কি আজ সোমাদৃতা আসবে না? মুখে একরাশ অভিমান নিয়ে পম্পা দেবীর মন্দিরের দিকে অগ্রসর হলো, হটাৎ সামনে দুটো দাসীকে কোনো একটা বিষয়ে আলোচনা করছে দেখতে পেলো কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে এগিয়ে যেতে লাগলো, কিন্তু একটি নাম কানে আসায় থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো –
প্রথম দাসী, দ্বিতীয় জনকে বলছে, “শুনেছিস সোমাদৃতা কি কান্ড করেছে?”
দ্বিতীয়জন আগ্রহের সাথে বললো, “কি কি শুনি”
প্রথমজন আবার বললো, “সে দক্ষিণের সীমানা এক দিনেই যেয়ে আবার ফিরে এসেছে, যেখানে রাজার সব থেকে তেজী ঘোড়াও দুদিন সময় নেই সেখানে এই মেয়ে একদিনে ফিরে এসেছে, ভাবা যায়?”
দ্বিতীয়জন আঁতকে বলে উঠে, “সে কিরে? এটা কেমনে সম্ভব?”;
বিদ্যুৎমালার, সোমাদৃতার বীরত্বের কথা শুনে সারা শরীরে উত্তেজনার আগুন জ্বলে উঠে, বিদ্যুৎমালার হাতে ধরে থাকা ঘটের জল সারা শরীরে ঢলতে থাকে, কিন্তু সে আগুন নিভে না, এ শুধু এখজনই নিভাতে পারে, সে হলো সোমাদৃতা, তার একটি আলিঙ্গনে আর্ তার ঠোঁটের পরশে নিভতে বাধ্য।
সোমাদৃতা রাজদূত হবার পর সে আরও নিজের কাজের ভারে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। সময়ই পায়না, এখন আর নিয়মিত বিদ্যুৎমালার সাথে দেখা হয় না, নিজের বুকের মধ্যে কিছু একটা খালি অনুভব করে কিন্তু কোনোরকম ব্যাকুলতা প্রকাশ করে না। কিন্তু বিদ্যুৎমালা ব্যাকুল হয়ে উঠে। যত দিন যায় ততোই অস্থির হয়ে উঠে মনে মনে বলতে থাকে, “আজ দেখা হোক আজ হিসাব বুঝিয়ে দেবো”, কিন্তু সেই দিন আর্ আসে না
রাজা দেব রায় এবার বলরামের গোপন বিধ্যার পরীক্ষার জন্য রাজ গৃহতে ডাক পড়লো। সে বললো, সে জানে এমন কামান তৈরি করতে যেটা কিনা একটা মানুষে বহন করা যাবে, দেব রায় বেশ অবাক হলেন, এও কি সম্ভব,
বলরাম বললো, “অসম্ভব কে সম্ভব করে বলরামের কাজ”।
দেব রায় মুখে গম্ভীর মেঘ কিঞ্চিৎ মাত্র নরম হয়ে বললো, “ঠিক আছে তোমাকে 1 মাস সময় দেওয়া হলো এর মধ্যে তোমার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে”।
“যথা আজ্ঞা মহারাজ”, বলে বলরাম রাজাকে প্রণাম করে প্রস্থান করলো।
সেদিন বিকালে সোমাদৃতা আর্ বলরাম একসঙ্গে নগর পরিভ্রমনে বেরোলো, তখন শুনলো দুজন যুবক নিজদের মধ্যে গল্প করছে নিতাই পণ্ডিতের সে নাকি মোক্ষম হাত গনাতে পারে। এইসব শুনে সোমাদৃতাও হাত গণনার প্রতি আগ্রহ দেখালো। সে বলরামকে বললো, “ভাই যাবে হাত গণাতে, আমার এতে বেশি বিশ্বাস করি”
বলরামও সুরে সুর মেলালো, দুজনে নিমাই পণ্ডিতের বাড়িতে হানা দিলো।
নিমাই পণ্ডিত দেখে বললো, “কি চাই?”
সোমাদৃতা বললো, “ঠাকুর মশাই আমরা হাত গণাতে এসেছি”
“আচ্ছা বসো, আমি আসছি”, বলে ভিতরে গেলো নিমাই পণ্ডিত।
কিছু সময় পর ফিরে এলো, সঙ্গে একটা কুশের আসন, একটা পিতলের ঘটি আর্ কয়েকটা দূর্বা।
“কে আগে গণাবে?”
“আমি”, বলেই সোমাদৃতা তার হাত সামনে দিকে এগিয়ে দিলো।
নিমাই পণ্ডিত একটু সামনের দিকে ঝুঁকে হাতটা ধরে অনেক্ষণ ভালো করে দেখে বললো, “তুমি অনার্য ক্ষত্রিয় নারী, তোমার সেনা তে যোগ লক্ষ্য করছি, আর্ সবথেকে বড়ো কথা তুমি সমকামী, আর্ তুমি এমন একটি মেয়ের প্রেমে পড়বে যার জন্য তুমি মৃত্যুর সামনাসামনি হবে”।
বেশ অবাক হলো সোমাদৃতা সে নিজে সমকামী নিজেও সে জানে না। হ্যাঁ সে আগেও তার গ্রামে অনেককে দেখেছে কিন্তু তার নিজের কোনোদিন করো প্রতি আসক্তি বোধ করেনি।
সে প্রশ্নও করলো, “কিন্তু ঠাকুর মশাই আমি কখনো কারো প্রতি আসক্তি বোধ করিনি, তাহলে কিভাবে হলাম?”
নিমাই পণ্ডিত হেসে বললো, “মা, সবই ঈশ্বরের কৃপা, তোমার এটা জন্মগত বৈশিষ্ট্য, আমরা যে বিষমকামী আমাদের কি আলাদা করে আসক্তি বোধ করি, হয়তো তুমি সেই বিশেষ জনের দেখা পাওনি তাই তোমার মনে প্রেম ভালোবাসা জায়গা পায়নি, কিন্তু তোমার হাতের রেখা বলছে তার আগমন তোমার জীবনে হয়ে গেছে”।
চোখ বড়ো বড়ো করে চেয়ে রইলো সোমাদৃতা।
এরপর নিমাই পণ্ডিত বলরামের হাত দেখলো তারপর বললো, “তোমার বেশ সুনাম হবে হবে এবং বিয়ে হবে সম্ভবত সামনের বছরে, আর হ্যাঁ একটা বিশেষ গুণ আছে তোমার মধ্যে তুমি যদি তোমার বন্ধুর সংস্পর্শে থাকলে সে হয়তো মৃত্যুর মুখ থেকে ঘুরে আসবে, এতে তোমার নিজের কিছু ক্ষতি হবে”।
বলরাম আর সোমাদৃতা বিরস মনে পণ্ডিতের কুটির থেকে বেরিয়ে এলো, কিছুক্ষন চুপচাপ হাঁটার পর বলরাম বললো, “তাহলে তুমি সমকামী, বেশ ভালোই হলো তুমি আমি একসাথে এবার মেয়ে খুঁজব”, বলে সোমাদৃতাকে কাঁধে করে ইসৎ ধাক্কা দিলো।
“সেতো নাই বুঝলাম ভাইয়া কিন্তু তুমি আমার সাথে থাকলে যে তোমার ক্ষতি হবে”, মাটির দিকে চেয়ে বললো সোমাদৃতা।
“তো কি হয়েছে, এতে তোমার প্রাণ বেঁচে যাবে, মোট কথা আমি তোমার সঙ্গ ছাড়ছি না”, জোর গলায় বললো বলরাম।
সোমাদৃতা একবার আকাশে দিকে তাকিয়ে জোরে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবার হাঁটা দিলো।
বলরাম আর সোমাদৃতার থাকার ব্যবস্থা রাজা বেশ গুপ্ত রাখলেন, তাদের দুজনকে বিজয়নগরের উত্তর দিকের পাহাড়ের দুটি পৃথক গুহায় থাকার নির্দেশ দিলেন। যেখানে বলরাম নির্বিঘ্নে কামান তৈরি করতে পারে, আর্ সোমাদৃতা চরবৃত্তি।
এদিকে এক এক করে দিন পার হতে লাগলো, বিদ্যুৎমালা, সোমাদৃতাকে না দেখতে পেয়ে একপ্রকার খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিল, মনে শান্তি নেই, সুখ নেই, আছে শুধু একরাশ চাঁপা অভিমান, সেই অভিমান কি শুধু এক পক্ষের? সত্যিই বিদ্যুৎমালা পরিচয় পেলো প্রকৃত ভালোবাসার অর্থ। দেব রায় রাজকুমারীর এরকম আচরণে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন, তার হবু স্ত্রী যদি শরীরের যত্ন না নেই তাহলো রাজ্যের নাগরিক কি বলবে, সে ভাবলো হয়তো চার দেওয়ালের সীমাবদ্ধতার কারণে চিত্ত চঞ্চল হয়ে উঠেছে সে দাসীদের আদেশ দিলেন যেনো প্রত্যেক বিকালে রাজকুমারী বিদ্যুৎমালাকে পরিভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে মন হয়তো ভালো থাকবে।
প্রথমদিন দাসীরা তাকে পম্পা সরোবর আর্ তার আশপাশ ঘুরিয়ে দেখালো কিন্তু মন কিসেও বসেনা, শুধু সোমাদৃতার কালো ঘন চোখে আটকে যায়।
দ্বিতীয়দিন উত্তরের পাহাড়ের দিকে যাবে বলে ঠিক করে বিদ্যুৎমালা কিন্তু দাসীরা মানা করে তাতে সে রেগে বলে রাজার কাছে নালিশ করবে, অগত্যা দাসীরা বাধ্য হয়। যখন পাহাড়ের কাছাকাছি আসে তখন সে একটা আবছা মূর্তি দেখতে পায়, বড়ো অস্থির লাগছে কাছে মূর্তিটা, আরো এগিয়ে গেলে বুঝতে বারে কেউ একজন তলোয়ার খেলা অনুশীলন করছে, আরো কাছাকাছি যেতে বুঝতে পারে সেটি আর্ কেউ নয় তার সোমাদৃতা, সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে। বিদ্যুৎমালার চোখে ঝিলিক খেলে উঠে, মনে মনে বেশ অবাক হয় সে কৌতুহল নিয়ে দাসীদের প্রশ্ন করে, “আচ্ছা ওরা ঘুহায় কি করছে?”
“রাজা ওদের গোপন বাসের আদেশ দিয়েছে গো রানী, ওরা দুজনেই রাজার গোপন কর্মে নিযুক্ত হয়েছে”।
বিদ্যুৎমালা কোনো কথা না বলে এক দৃষ্টিতে সোমাদৃতার দিকে চেয়ে থাকে।
পরদিন বিদ্যুৎমালা সমস্ত দাসীদের তার সাথে আসতে মানা করে দেয়, সে একাই ঘুরবে বলে দেই। সে রাজার অনুমতি পেয়েই সটান চলে আসে উত্তরের পাহাড়ের দিকে, আজও সোমাদৃতা তলোয়ার বিদ্যা অনুশীলন করছে।
বিদ্যুৎমালা, সোমাদৃতার পিছনে এসে দাঁড়ায়, সোমাদৃতা তার পিছনে করো উপস্থিতি বুঝতে পেরে চকিতে ঘুরে দাঁড়ায়, আর্ তলোয়ার সামনের ব্যক্তির গলায় ধরে রাখে।
ব্যক্তিটি আর্ কেউ নয় রাজকুমারী তথা বিজয়নগরের ভাবি রানী বিদ্যুৎমালা। সোমাদৃতা হতভম্ব আর্ অবাক হয়ে যায়।
বিদ্যুৎমালা করুন সুরে বলে, “হ্যাঁ একটু একটু করে কষ্ট দিয়ে মরার থেকে একবারে মেরে ফেলুন আমায়”।
সোমাদৃতা ভুল বুঝতে পেরে তলোয়ার বিদ্যুৎমালার গলা থেকে নামিয়ে নিজের কোমরের খাপে আটকে দেয়, তারপর বলে, “দুঃখিত রাজকুমারী আমার এই ভুলের জন্য আমি ক্ষমপ্রার্থী”
বিদ্যুৎমালা বলে, “আমি একটি শর্তেই আপনাকে মাপ করবো”
“কি শর্ত?”
“ভালোবাসতে হবে আমায়”
চলবে………!

মন্তব্যসমূহ