Part 3
“হ্যাঁ, আমি, জানতাম তুমি ঠিক আমায় খুঁজে ফেলবে”, এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে থামলো প্রিয়া।
চোখে জল বাঁধ মানতে নারাজ। আমি সঙ্গে সঙ্গে জড়িয়ে ধরলাম প্রিয়াকে। শক্ত করে চেপে রাখলাম বুকের মাঝে, কোনো শক্তিই আমাদেরকে আলাদা করতে পারবে না। প্রিয়া একটু শান্ত হলে। আমি ওর চোখের জল মুছে আলতো করে কপালে চুমু খেলাম।
ঠোঁটে চুমু খেতে যাবো এমন সময় প্রিয়া বললো, “না, এখন আমি তোমার নয়, আমার এই শরীর দূষিত হয়ে আছে, আমি অন্যের ব্যবহার করা মন তোমায় দিতে চায়না”।
“তুমি যেমনই হও আমি তোমাকে গ্রহণ করবো, আমি তোমার শরীরকে নই মনকে ভালোবেসেছি, আর মন কখনো অপবিত্র হয় না, চলো আমার সাথে আমরা পালিয়ে যায় দূরে কোথাও”, ভাঙ্গা সুরে বললাম আমি।
“না, তা হয় না, আমি জানি তুমি আমাকে আমার থেকেও বেশি ভালোবাসো, কিন্তু আমি পুরোপুরি তোমার করতে চাই”, বলল প্রিয়া।
“বলো, তার জন্য কি করতে হবে আমাই”, দৃঢ় গলায় বললাম।
“মেরে ফেলো দীপ্তিকে”, কঠিন গলায় বললো প্রিয়া।
আমি অবাক হয়ে তাকালাম প্রিয়ার দিকে, বোঝার চেষ্টা করলাম ঠিক কি পরিমান টর্চার করেছে আমার প্রিয়াকে।
আমি প্রিয়ার দুটো হাত আমার হাতে নিলাম, হাত দুটোতে চুমু খাবার জন্য মুখের কাছে নিয়ে এলাম, হাতের কব্জিতে টকটকে লাল দাগ লক্ষ্য করলাম। ভ্রু তুলো প্রিয়ার দিকে তাকাতেই প্রিয়া হাত দুটো ছড়িয়ে নিলো। বুঝলাম দাগ দুটো কিসের।
আমি কিছু বলতে হবে এমন সময় পিছনে জলে কাদায় করো ছপছপ পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলাম।
প্রিয়া অস্থির হয়ে উঠলো, “তুমি আলমারিতে লুকিয়ে পরো ঠিক সময় বুঝে আমি তোমায় বের করে নিবো”, বললো প্রিয়া।
আমি বেশি দেরি না করে ঘরে রাখা আলমারির দিকে এগুলাম। ঘরে একটা কিং সাইজ বিছানা বিছানার মাথার দুটো রডে দুটো হ্যান্ডকাফ দেখে আরো স্পষ্ট হলো প্রিয়ার হাতের কব্জি লাল হওয়ার কারণ।
বিছানার উল্টো দিকে আলমারিটাই আমি লুকালাম। ওটার ভিতরে ঢোকার সময় প্রিয়া আমার হাতে একটা বড়ো স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে বললো, “মুক্ত করো প্রিয় আমায়”।
আমি স্ক্রু ড্রাইভারটা নিয়ে আলমারিতে ঢুকে পড়লাম, যথেষ্ট খোলা রাখলাম যাতে বাইরেটা দেখতে পায়। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমি দরজায় কলিং বেলের শব্দ শুনতে পেলাম।
আমি দেখলাম প্রিয়া দরজা খুলে গেটের সামনে kneel down হয়ে মাথা নিচু করে বসে রইলো,
“welcome, mistress”,
ভীত কণ্ঠে প্রিয়া বললো।
একটা রেনকোট পরা শরীর এসে দাঁড়ালো প্রিয়ার সামনে। প্রিয়া আগন্তুকের হাতটা নিজের হাতে নিয়ে তাতে চুমু খেল। আমি দাঁতে দাঁত চেপে ধরলাম। এবার আগন্তুক নিজের রেনকোটটা খুলে হাঙ্গার এ ঝুলিয়ে রাখলো। আমি এবার স্পষ্ট দেখতে পেলাম আগন্তুককে, দীপ্তি। চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। মনে হয় নেশা করে আছে। সে প্রিয়ার দিকে ঘুরে বললো, “কেউ এসেছে বাড়িতে”।
প্রিয়া আরো ভীত হয়ে বলে উঠলো, “কো… কই কেউ আসেনি তো”।
এবার আমি বুঝতে পারলাম আমি দুটো বোকামি করে ফেলেছি এক গাড়িটা রাস্তায় এখনো দাঁড় করানো আছে দুই আমার জুতোর কাদার চাপ মেঝতে টাটকা। দীপ্তি মেঝেয় বসে আমার কাদার চাপ দেখতে পেলো সেটা অনুসরন করে আলমারির দিকে তাকালো একটা দুষ্টু হাসি মুখে খেলে গেলো দীপ্তির। আমি চুপচাপ নিজের নিশ্বাস চেপে রইলাম। বুক জোরে হাতুড়ি মারতে লাগলো বুকের মধ্যে। দীপ্তি এক পা দুপা করে আলমারির দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। আমার বুকের কম্পন আরো বাড়তে লাগলো। যখন দীপ্তি আলমারির আংটাই ধরে টান দিতে যাবে, এমন সময় প্রিয়া পিছন থেকে ডেকে উঠলো, “mistress, I want you play with my body, I am so horny!”
দীপ্তি আংটা থেকে হাত সরিয়ে হাসি মুখে প্রিয়ার দিকে ঘুরলো। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
“Sure, baby”, প্রসন্ন গলায় বললো দীপ্তি।
“strip and position One”, কড়া গলায় প্রায় আদেশের সুরে বললো দীপ্তি।
প্রিয়া কোনো কথা না বলে মাথা নিচু নিজের শরীর থেকে একটা একটা করে নিজের বস্ত্র খুলতে লাগলো। শেষে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে দীপ্তির সামনে kneel down দিয়ে বসলো।
দীপ্তি, প্রিয়ার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে প্রিয়ার গালে সজোরে থাপ্পড় মারলো।
প্রিয়া চোখ বন্ধ করে বলল, “thank you mistress”
আমি স্ক্রু ড্রাইভারটা আমার হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরলাম। দীপ্তি আবার আলমারির দিকে ঘুরল তারপর হাসতে লাগলো। এবার প্রিয়ার দিকে ঘুরে বললো, “যাও বিছানায়”
প্রিয়া বাধ্য শিশুর মতো বিছানায় শুয়ে পড়লো। দীপ্তি প্রিয়ার দুটো হাত বিছানায় আটকে থাকা হ্যান্ডকাফ এর সঙ্গে প্রিয়ার হাত দুটো বেঁধে দিল। দীপ্তি নিজের কোমরের বেল্ট খুলে সঁপাত সঁপাত করে মারতে লাগলো। প্রিয়া প্রত্যেক আঘাতে ককিয়ে ককিয়ে উঠলো। আমি নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলাম স্ক্রু ড্রাইভারটা হাতের তালুতে শক্ত করে ধরে আস্তে আস্তে আলমারির দরজা খুলে গুটি গুটি পায়ে দীপ্তির পিছনে দাঁড়ালাম। প্রিয়ার ফর্সা শরীরে প্রত্যেক আঘাত প্রখর হয়ে ফুটে উঠেছে। আমার মনের মধ্যে এবার ন্যায় আর প্রতিহিংসা এর দুয়ের দ্বন্দ্ব শুরু হলো। মন বলছে, “কাউকে মেরে ফেলা ন্যায় বিরুদ্ধ” কিন্তু মস্তিক বলছে, “মেরে ফেল একে মুক্ত কর তোর প্রিয়াকে”।
দীপ্তির কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই আমি তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছি। সে একটার পর একটা বেল্টে করে আঘাত করে চলেছে প্রিয়াকে……..

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন